লটকনের উপকারিতা জানলে এখুনি খাওয়া শুরু করবেন!


লটকন একটি সুস্বাদু ফল। আর এটি এশিয়া্র বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারতে বেশি হয়। আমাদের দেশেও এই ফলের ব্যাপক চাষ হয়। লটকন গাছের পাতা ও বাকলও খুব উপকারী। প্রাচীনকালে এগুলি ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

যখন লটকন কাঁচা থাকে তখন এটি সবুজ দেখায়। যখন পেকে যায় এটা আঙুরের মতো রঙ হয়,ভেতরে গাঢ় বেগুনি আঁশ থাকে। লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণ ঠান্ডা-কাশি সারাতেও লটকনের জুড়ি নেই। ভিটামিন সি ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। এ কারণে লটকন ত্বকের তারুণ্য বাড়াতেও দারুন কার্যকরী।

আয়রণের স্বল্পতার কারণে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূণ্যতা তৈরি হয় শরীরে। লটকনে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। এ কারণে এটি রক্তশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়। লটকনে কলার মতোই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।সেই সঙ্গে এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

এমনকি লটকন ক্যালসিয়ামেও ভালো উৎস। এ কারণে লটকন হাড় সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। লটকনে প্রচুর ফাইবারও থাকে যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “লটকনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। দিনে দুতিনটি লটকন খেলে শরীরের ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ হয়।”

এছাড়াও রয়েছে নানা রকম পুষ্টি উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রুচি বাড়াতে লটকন বেশ উপকারী।

ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে। লটকনে ভিটামিন সি বেশি থাকায় দিনে দুতিনটি লটকন ভিটামিন সি’র সার্বিক চাহিদা পূরণ করতে পারে।

এই ফলে নানা রকম খনিজ উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম উল্লেখযোগ্য। এইসব উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্রোমিয়াম থাকে।

রক্ত ও হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী আয়রন। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৫.৩৪ মি.গ্রা আয়রন থাকে। লটকনে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। প্রতি ১০ গ্রাম লটকনে ১০.০৪ মি.গ্রা ভিটামিন বি ওয়ান ও প্রতি ১০০ গ্রামে ০.২০ মি.গ্রা ভিটামিন বি টু পাওয়া যায়।

খাদ্যশক্তির ভালো উৎস লটকন। দেহ সক্রিয় রাখতে ও দৈনন্দিন কাজ করতে খাদ্যশক্তি প্রয়োজন হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ৯২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বলেন জানান, ফারাহ মাসুদা।

লটকনে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও এনজাইম যা দেহ গঠন ও কোষকলার সুস্থতায় কাজে লাগে। এইসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।